ঢাকা: শত্রু মিত্র বিভাজনের ক্ষেত্রে আমরা যদি পরিষ্কার থাকি তাহলে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর এবং প্রতিবন্ধকতা আমলাতন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্ট দার্শনিক এবং লেখক ফরহাদ মজহার।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) অডিটোরিয়ামে ‘বিদ্যুৎ রূপান্তর কোন পথে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফরহাদ মজার বলেন, বিগত সরকার সমাজতন্ত্রের নামে নিউ লেভেল ইকনোমি বাস্তবায়ন করেছেন। এখানে ব্যক্তির কোনো স্বার্থ থাকে না, কোম্পানির স্বার্থে কাজ করেছে। এ নিউ লেভেল ইকনোমি, এটা ছুড়ে ফেলে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শত্রু মিত্র বিভাজনের ক্ষেত্রে আমরা যদি পরিষ্কার থাকি তাহলে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর প্রতিবন্ধকতা আমরলাতন্ত্র। এখনো নিউ লিবারেল ইকোনমি চলমান থাকবে, কোনোভাবেই আমরা জ্বালানি প্রশ্নের সমাধান করতে পারবো না, যেহেতু আমলারা বাধা দেয়। আমলাতন্ত্র একটা বড় ধরনের বাধা। নইলে কিন্তু আমরা একটা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো না।
তিনি বলেন, আমলাতন্ত্রকে আমরা যদি পুরোপুরি বদলাতে না পারি তাহলে নিউ লিবারেল ইকোনমিক পলিসি কন্টিনিউ করবে। আমাদের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে, সর্বস্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা আমাদের প্রশাসন চলবে। নির্বাচিতদের প্রতিনিধি হচ্ছে জনগণ, আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির প্রতিনিধি নয়। ডেমোক্রেসি বলতে শুধু পলিটিক্যাল পার্টির ডেমোক্রেসি এটা পৃথিবীর কেউ মানে না।
এ লেখক বলেন, আমরা কোনোভাবেই কোনো পার্টির একনায়কতন্ত্র চাই না। আমরা জনগণকে চাই, জনগণই ঠিক করবে, জনগণই নীতি বাস্তবায়ন করবে। জনগণই পুরো রাষ্ট্রকে পরিচালনা করবে। পৃথিবীতে এমন বহু মডেল আছে। এর জন্য সর্বপ্রথমে আমাদেরকে প্রাইভেটাইজেশনের থেকে সরে মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত একটি মডেলের কথা চিন্তা করতে হবে। জনগণকে প্রতিটা ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে হবে। জনগণকে বাদ দিয়ে যাই করবেন, সেটাই ফ্যাসিজম, আপনি আওয়ামী লীগ হন, বিএনপি হন যাই হোন না কেন।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এম জিয়া-উল-আজিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (অর্থ) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
আরকেআর/জেএইচ