ylliX - Online Advertising Network
সংস্কার আর নির্বাচন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে: মান্না

সংস্কার আর নির্বাচন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে: মান্না


বগুড়া: নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সংস্কার আর নির্বাচন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেছেন, সারা দেশজুড়ে সবাই বলছে দেশ বদলাবার জন্য সংস্কার করতে হবে। আরেক দল বলছে আগে সংস্কার পরে নির্বাচন।

আর আমি বলি সংস্কার আর নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে। কারণ সংস্কার থেমে থাকবার জিনিস নয়।

শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


রাষ্ট্র সংস্কারকে চলমান প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করে মান্না বলেন, একটা বাড়ি প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হয়, দরজা-জানালা মেরামত করতে হয় ৷ ঠিক তেমনি একটি দেশ ও রাষ্ট্রকে প্রতিদিন তার প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হয়। প্রতিদিন তার পুলিশি ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হয়, জনপ্রশাসন, সেক্রেটারিয়েটসহ অফিস-আদালত যত আছে সেগুলোতে প্রতিদিন আরও বেশি জনবান্ধব হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণ কষ্ট পায় সেই রকম প্রশাসন আমরা চাই না।


ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যত সরকার দেখেছি তারা টাকা কামাই করার ধান্দায় থাকে, যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকবার চেষ্টা করে। ভোট ডাকাতি করে, লুটপাট করে। কিন্তু এ সরকার তো তা নয়। ড. ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে আমার শিক্ষক ছিলেন। তার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপকালে আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘আরও বেশি সময় ছলে-বলে-কৌশলে ক্ষমতায় থাকবার ধান্দা মাথার মধ্যে আছে কিনা?’ তিনি উত্তরে এসব আশঙ্কার কথা নাকচ করে দিয়েছেন।


নাগরিক ঐক্যের সভাপতি জনগণের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ভালো মানুষদের নিয়ে সরকার বানান। বাংলাদেশকে বদলে দেওয়া সম্ভব, যারা ক্ষমতায় আছে তারা যদি দেশ বদলে দিতে যায়। তাই সেই রকম দল পছন্দ করতে শেখেন যারা জনগণের কল্যাণ করবে।


দলগুলোর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার কথা জানিয়ে মান্না বলেন, শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনকালে আমরা জনগণকে বলেছিলাম আমরা শুধু সরকার বদলের লড়াই করছি না দেশ বদলের লড়াইও করছি একইসঙ্গে। আমরা মানুষের ভাগ্য বদলের লড়াইও করছি একইসঙ্গে। আমরা বলবো আরও যত দল আছে সেই দলগুলো যাতে নিজেরা ভালো হয়ে যায়। দলের নেতারা যাতে নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন করে। দলের নেতারা যাতে মনে না করেন দলের এমপি হওয়ার জন্য তার জান দিয়ে দিতে হবে। দলের নেতারা যাতে মনে না করে যখনই আওয়ামী লীগ চলে যাবে আমি সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করবো, বাসস্ট্যান্ড দখল করবো, চাঁদাবাজি করবো, টাকা বানাবো। ওইসব দল দিয়ে দেশের কোনো কল্যাণ হবে না। এখন থেকে সেই সমস্ত দল হয় নিজেদের বদলাবে, না হলে আপনারা দল বদলে দেবেন।


গণসমাবেশে মান্না দেশের ৬ কোটি দরিদ্র মানুষের খাদ্য ও চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব বলেও জানান।  


তিনি আরও বলেন, দরিদ্র পরিরবারের প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি মাসে টাকা বরাদ্দ দিতে হবে। আর চিকিৎসা ভাতার জন্য বছরে প্রয়োজন ৫০ হাজার কোটি টাকা। উন্নত বিশ্বে এমন ব্যবস্থা আছে বাংলাদেশেও এটা করা সম্ভব। ধনীদের টাকা দিলে তারা বিদেশে পাচার করে কিন্তু দরিদ্রদের দিলে তারা সেই টাকা দেশেই রাখবে।


সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নেতা মতিয়ার রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার ও নাগরিক ঐক্যের শিবগঞ্জ উপজেলা কমিটির শহিদুল ইসলাম।


বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২৪

কেইউএ/আরবি





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *