আবু সাঈদ (রা.) বলেন, ‘আমরা তাদের ছেড়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলাম। আমরা আমাদের অবস্থা সম্পর্কে রাসুলকে (সা.) জানালাম। রাসুল (সা.) হাসতে লাগলেন। বললেন, “আপনারা কীভাবে জানলেন যে সুরা ফাতিহা কাউকে নিরাময় করতে পারে? অর্থাৎ, আমি তো আপনাদের কখনো শেখাইনি যে সুরা ফাতিহা নিরাময় হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, আপনারা কীভাবে এর ব্যবহার জানলেন?”’
রাসুল (সা.) এরপর হাসতে হাসতে বললেন, ‘আপনারা ভেড়ার পালটি গ্রহণ করার জন্য সেখানে যান এবং আমার জন্যও এর একটি অংশ বরাদ্দ করুন।’
এখন গল্পের শিক্ষা হলো: সমগ্র কোরআন একটি শিফা—একটি নিরাময়, তবে তা আধ্যাত্মিকভাবে। কিন্তু যা সুরা ফাতিহাকে অনন্য করে তোলে, তা হলো এটা আধ্যাত্মিক নিরাময় তো বটেই, এমনকি শারীরিক নিরাময়ও। আমরা নিজেরা যখন অসুস্থ থাকি, আমাদের সন্তানসন্ততি যখন অসুস্থ থাকে, তখন এই সুরা তিলাওয়াত করা যায়।
আমরা আশা করি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সুরা ফাতিহার মাধ্যমে আমাদের নিরাময় করবেন, আমাদের মর্যাদাকে উন্নীত করবেন এবং আমাদের কুরআনের মানুষে পরিণত করবেন।
অনুবাদ: ফাহমিনা হাসানাত