প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ২ বছরে এ প্ল্যাটফর্মে ১ লাখ ৬৫ হাজার ব্যবহারকারী নিবন্ধন করেছিল। ওয়েবসাইটটি পরিদর্শন করেছিল ১০ লাখের মতো মানুষ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বজুড়ে শিশুদের জন্য ইন্টারঅ্যাকটিভ গেমিং প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সংযোগ নিয়ে দেশে যে প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছিল, তা তথ্য বা ধারণা প্রচারের জন্য কার্যকরভাবে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এটি তৈরিতে রাষ্ট্রের অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। তাই প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ না করে, বরং যেখানে প্রয়োজন, সেখানে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা যেতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেটি করা উচিত।
প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যয় বেশি হয়েছে কি না, জানতে চাইলে অধ্যাপক মইনুল বলেন, ‘একটি সিস্টেম মানে শুধু আপাতদৃষ্টে একটি ওয়েবপোর্টাল বা ওয়েবসাইট নয়; সেখানে একই সঙ্গে কত ব্যবহারকারী প্রবেশ করতে পারবে, নকশা, নিরাপত্তা, মান, ব্যাকআপ, পরবর্তী সময়ের ব্যবস্থাপনার ওপর প্রকৃত ব্যয় নির্ভর করে। সেটি বিস্তারিত না দেখে ব্যয়ের ব্যাপারে ধারণা করা কঠিন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যয় বেশি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
যে প্রতিষ্ঠান কাজ নেবে, তারা বেশি দাম চাইতেই পারে। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচিত, দর–কষাকষি ও বাজার যাচাইপূর্বক প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে যথাযথ দাম নির্ধারণ করা বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক মইনুল।