শাপুরজির জন্ম ১৮৭৪ সালে। তাঁর বাবা দোরাবজি শাকলাতভালা ছিলেন সুতা ব্যবসায়ী। মা জেরবাই ছিলেন টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামসেদজি টাটার বোন। শাপুরজির ছেলেবেলাতেই তাঁর মা–বাবার বিচ্ছেদ হয়। ১৪ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে মুম্বাইয়ে টাটা পরিবারের এসপ্লানেড হাউসে চলে যান। সেখানে তাঁর অভিভাবক ছিলেন চাচা জামসেদজি।
‘ফিফথ কমান্ডমেন্ট’ নামে শাপুরজির আত্মজীবনী লিখেছেন তাঁর মেয়ে সেহরি। সেখানে তাঁর জীবন সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যায়। বইয়ে সেহরি লিখেছেন, শাপুরজিকে সব সময়ই খুব স্নেহ করতেন জামসেদজি। ছেলেবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে বড় সম্ভাবনা দেখেছিলেন। ভরসা রাখতে শাপুরজির সক্ষমতার ওপর। এ কারণে সব সময় তাঁর খোঁজখবর রাখতেন জামসেদজি।
বোনের ছেলের প্রতি এই ভালোবাসাকে ভালো চোখে নেননি জামসেদজির বড় ছেলে দোরাবজি টাটা। ‘ফিফথ কমান্ডমেন্ট’ বইতে সেহরি লিখেছেন, ছেলেবেলায়—এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও তাঁদের মধ্যে একধরনের দ্বন্দ্ব ছিল। ওই সম্পর্ক কখনোই জোড়া লাগেনি। একপর্যায়ে পারিবারিক ব্যবসা থেকে শাপুরজিকে দূরে ঠেলে দেন দোরাবজি। এরপর ভিন্ন পথে যাত্রা শুরু করেন শাপুরজি।