চট্টগ্রাম: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে ৭০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হওয়া বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাউসার মাহমুদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের মাঠে জানাজা শেষে নগরের ডবলমুরিং থানার মোগলটুলী আব্দুর রহমান মাতব্বর জামে মসজিদে পাশে কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
কাউসার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ রোডে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
মোগলটুলীতে তার মুদি দোকান রয়েছে। ছেলে কাউসার মাহমুদ বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র শিক্ষার্থী ছিলেন। রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কাউসার মাহমুদের বাবা আব্দুল মোতালেব বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার রাতে এশার নামাজের পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের মাঠে আব্দুর রহমান মাতব্বর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল হাসনাত আল কাদেরীর ঈমামতিতে কাউসার মাহমুদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে আব্দুর রহমান মাতব্বর জামে মসজিদে পাশে কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদকে আগ্রাবাদ ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় একই হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর আহত শিক্ষার্থী কাউছার মাহমুদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউতে থাকাকালীন তার শারীরিক অবস্থার পুনরায় অবনতি হলে কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম সেনানিবাসকে বিষয়টি জানায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে আগের দিন তাকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। পরে চট্টগ্রাম সিএমএইচের সহযোগিতায় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আর্মি অ্যাভিয়েশনের হেলিকপ্টারে ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা সিএমএইচে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।