বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই পরিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাদের গ্র্যাজুয়েটদের শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান নয়, বরং আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা, সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধান, সহানুভূতি ও স্থিতিস্থাপকতার মতো দক্ষতার জন্যও প্রস্তুত করতে হবে। এই দক্ষতাগুলো বর্তমান বক্তৃতাভিত্তিক শিক্ষণপদ্ধতির মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব নয়। এর সমাধানে, শিক্ষকদের বিকল্প শিক্ষণপদ্ধতি যেমন ফ্লিপড ক্লাসরুম লার্নিং, সমস্যাভিত্তিক শিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষণ ব্যবহার করতে হবে।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে ব্যবস্থাকে খণ্ডিতভাবে না বুঝে সামগ্রিকভাবে বুঝতে হয়। কাজেই গ্র্যাজুয়েটদের এমন কর্মশক্তি হতে হবে, যাঁদের রয়েছে গভীর দক্ষতা, আবার যাঁরা অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করতে সক্ষম। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমগুলো এমন পদ্ধতি অনুসরণ করে, যা জটিল সিস্টেমগুলোকে বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন অংশে ভাগ করা হয়। তবে এ পদ্ধতি আজকের আন্তসংযুক্ত বিশ্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এখন চাই আরও সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি।
প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত, আন্তসংযুক্ত বিশ্বে বাঁচতে হলে অবিলম্বে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব–চালিত অর্থনীতিকে গ্রহণ এবং উচ্চশিক্ষার রূপান্তর ঘটাতে হবে। একই সময়ে সরকার প্রায় সাড়ে ছয় কোটি স্বল্পদক্ষ শ্রমিককে উপেক্ষা করতে পারে না। এই জরুরি সমস্যার সমাধানের জন্য একটি সমন্বিত, উদ্ভাবনী সমাধান অত্যন্ত জরুরি। জাতি সেই অপেক্ষায় উদ্গ্রীব হয়ে আছে।
-
এম. এম. শহিদুল হাসান, সাবেক উপাচার্য, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং অধ্যাপক (অব.), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
E–mail: [email protected]