শামস এল আরেফিন: বাংলাদেশে বছরে কত মানুষ মারা যায় তার একটি হিসাব আছে, তবে হিসাবটা অনুমিত। এটা গুনে বের করা সংখ্যা নয়।
মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা বের করার আদর্শ উপায় হচ্ছে নিবন্ধন। মৃত্যুর নিবন্ধন। অনেক দেশে সেই নিবন্ধনব্যবস্থা আছে। সেখানে প্রতিটি মৃত্যু নিবন্ধিত হয়। সেই নিবন্ধন থেকে বছর শেষে একটি সংখ্যা বের করা যায়। বাংলাদেশে মৃত্যু নিবন্ধনের একটি ব্যবস্থা বা পদ্ধতি আছে। কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে নিবন্ধন না হওয়ায় বছর শেষে মৃত্যুর অনুমিত সংখ্যা বের করা সম্ভব না।
আমাদের প্রাক্কলিত সংখ্যাটি আসে বিভিন্ন জরিপ বা সার্ভিলেন্সের ডেটা থেকে। জাতীয় কোনো জরিপ থেকেও না।
মিকস বা বিডিএইচএস থেকে মৃত্যুহারের একধরনের পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। তাতে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। মিকস বা বিডিএইচএস থেকে সারা দেশের সব মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বলা ঠিক হবে না। মিকস বা বিডিএইচএস প্রতিবছর করা হয় না।
সেই অর্থে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে নিয়মিত ডেটা পাওয়া যেতে পারে এসভিআরএস থেকে। এসভিআরএস সারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। সর্বশেষ এসভিআরএস বলছে, দেশে বছরে প্রতি হাজারে মধ্যে ৫ দশমিক ৬ জন মানুষ মারা যায়। এখন বিডিএইচএস ও মিকসের মতো এসভিআরএসের ডেটা জাতীয়ভাবে প্রতিনিধিত্বশীল। সেটাই হয়তো গ্রহণযোগ্য সংখ্যা, প্রকৃত সংখ্যার কাছাকাছি।
আরেকটি হিসাব পাওয়া যায় ইন্টার-এজেন্সি মর্টালিটি এস্টিমেশন থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক, ইউনিসেফ, ইউএন পপুলেশন ডিভিশন আরেক ধরনের মৃত্যুর হিসাব দেয়। তাদের হিসাবটা ডেটার মডেলিংয়ের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। কিন্তু আমি এ ক্ষেত্রে মডেল ব্যবহারের পক্ষে নই, আমি প্রাক্কলিত সংখ্যাই নেব।