আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম নিজেই শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান, কামরুন নাহার মাহমুদ ও আফরোজা ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
রিট দায়ের করার পর সম্পূরক একটি আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম। গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখা যাচ্ছে, আমাদের সরকার ভারতের অন্যান্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ অনেক কম টাকায় পায়। ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে যে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়, দর প্রতি ইউনিট হিসাবে ৫ দশমিক ৫ পয়সা পড়ে। ভারতের অন্যান্য বেসরকারি খাত থেকে বাংলাদেশ যে বিদ্যুৎ নেয়, তার খরচ ইউনিট প্রতি ৮ টাকা ৫০ পয়সা করে পড়ে। অথচ আদানির কাছ থেকে নিতে ১৪ টাকার ওপরে ইউনিটপ্রতি খরচ পড়ে। এমনকি নেপাল থেকে আনতে মোট খরচ পড়ছে মাত্র ৮ টাকা। আদানির সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে দর–কাষাকষি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়নি বলে গণমাধ্যমে দেখেছি। যে কারণে আদৌ দর–কষাকষি হয়েছে কি না, হলে কীভাবে হয়েছে, এ-সংক্রান্ত তথ্য আদালতে দাখিল করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে সম্পূরক আবেদনে।’